গমের আটা থেকে কি কি পুষ্টিগত লাভ পাওয়া যায় ?
গম
একটি খুব ব্যবহৃত খাদ্য। গমের আটার রুটি, পুড়ি, পরোটা, আরো বিভিন্ন ভাবে গমের খাদ্যরূপে ব্যবহার খুবই প্রচলিত। পশ্চিমবঙ্গে খাদ্যতালিকায় চালের পরেই
এর স্থান।গম হলো উচ্চ ফাইবার যুক্ত আহার তাই যেকোনো বয়সের লোকের ক্ষেত্রে ভালো খাবার।গম
হলো কম শর্করা জাতীয় খাদ্য। তাই যারা দেহের ওজন কমানোর জন্য লক্ষ্যে নেমেছেন তাঁরাও
পেট ভরে রুটি খেতে পারেন। গমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হাওয়ায়
ডায়াবেটিস রোগীর জন্যে উপযুক্ত আহার। গম হলো স্বাস্থ্যকর আহারদের মধ্যে অন্যতম।তবে গম দানার বাইরের আস্তরণটি চেঁছে
ফেললে এর অনেক পুষ্টিগত গুন্ কমে যায়। আজ আমরা গমের পুষ্টিগত গুন্ নিয়ে
আলোচনা করবো।
গম এর পৌষ্টিক
মূল্য(per 100 gram) :-
Energy-339 kcal,
Carbohydrate-72.57 gm
Sugar-0.42 gm,
Dietary fibre -12.2 gm
Fat-1.87 gm
Protein-13.7 gm
Vitamins:-
Thiamin-0.447 mg
Riboflavin-0.214 mg
Niacin-6.365 mg
Vitamin B5-1.008 mg
Vitamin B6-0.314
Folate- 44 mcg
Minerals:-
Calcium -34 mg
Iron-3.88 mg
Magnesium-138 mg
Manganese-3.8 mg
Phosphorus-346 mg
Potassium-405 mg
Sodium-5 mg
Zinc-2.93 mg
গমের
পুষ্টিগত গুন্:-
1) গমের
মধ্যে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে যা পেশির গঠনে সাহায্য করে।
2) গমের
আটা এর মধ্যে নিয়াসিন থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় সাহায্য করে। এছাড়া নিয়াসিন আর্থরাইটিস এবং হৃদরোগ
নিরাময়ে সহায়ক।
3) গমের
মধ্যে থাকা জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরে ইন্সুলিন উৎপাদনে এবং শরীরে ইন্সুলিন এর
মাত্রা সঠিক রাখতে সহায়ক।
4) গমের
মধ্যে থাকা ফসফরাস শরীরের দূষিত কণাকে শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। এবং ফসফরাস
এবং ক্যালসিয়াম উভয়ে মিলে শরীরের হার গঠনে অংশগ্রহন করে।হাড় কে মজবুত করে।
5) গমের
মধ্যে বেশি পরিমানে আয়রন থাকে যা রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে এবং রক্তাল্পতা দূরীকরণে
সহায়ক।
6) গমের বাইরের আস্তরণ এ ভিটামিন B-1, B-2, B-3 ,ফলিক অ্যাসিড, কপার, ফসফরাস,আইরন, জিংক ,ইত্যাদি থাকে। 100 গ্রাম গম থেকে 339 কিলো ক্যালোরি শক্তি উৎপন্ন হয়।
7)গমের মধ্যে থাকা "বিটেইন" শরীরের ব্যাথা নিরাময়ে
সহায়ক। গমের মধ্যে অদ্রবণীয় ফাইবার ও থাকায় পরিপাক ক্রিয়া ধীরে ধীরে হয় যার ফলে
পিত্ত থেকে কম অ্যাসিড নিঃসৃত হয়।
8)গমের ভুসি সমেত আটা খাওয়া মহিলাদের প্রিমেনোপজ কালে মহিলাদের খুব উপকারী। ইহা মহিলাদের জন্যে ইস্ট্রোজেন হরমোন এর কার্যকারিতায় সাহায্য করে এবং স্তন ক্যান্সার কে প্রতিরোধ করে। পাকনালীর অন্ত্র কে সুস্থ রাখে এবং কোলন ক্যান্সার হতে বাধা দেয়।
9)নিয়মিত গমের খাদ্য খেলে স্বাসকষ্টজনিত রোগ কম হয়।
সাবধানতা:-
গমের
মধ্যে থাকা "অক্সালেট" এর কারণে কারো কারো এলার্জি হতে পারে।
উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like এবং Share করুন।
আরো পড়ুন:- "হলুদ" প্রতিদিন খেলে কি উপকার হবে ? , "কলা" প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার?
গম খেলে কি কি পুষ্টিগত উপকার পাওয়া যায় ? , "চীনাবাদাম কেন খাওয়া দরকার ?
ছোলা(চানা) প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার ? , "গুড়" প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার?
"ভাত "খেলে কি পুষ্টিকর উপকার পাওয়া যায় ? , "আপেল" খেলে কি উপকার হয়?
For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com
For Motivational Articles In Bengali visit..... www.swarojgarvikash.com
0 Comments