Advertisement

Responsive Advertisement

"মুলো" এবং "মুলো শাক" নিয়মিত খেলে কি উপকার হয়? (Nutritional Value of Radish.)

 "মুলো" এবং "মুলো শাক" খাওয়ার গুনাগুন :-

"মুলো" এবং "মুলো শাক" আমাদের অতি পরিচিত সবজি।"মুলো"কে ইংরেজিতে "Radish" বলা হয়। মুলো সারা বছর পাওয়া গেলেও এর মুখ্য সময় হলো শীতকাল। এর মূল এবং শাক দুটোই সবজি, স্যালাড, ঝোল এবং সুপ্ হিসেবে খাওয়া হয়। আজ আমরা মুলোর পুষ্টিগত গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করবো।   

                                                                       


মুলো এর পুষ্টিগত উপাদান গুলি হলো(USDA data প্রতি ১০০ গ্রামে ) :-

Water- 95.3 g

Protein-0.68 g

Carbohydrate-3.4 g

Fat-0.1 g

Calorie -17 K.Cal

Fiber-(1.6-2.7) g

Sugar-1.86 g

Calcium-(25-35) Mg

Iron –(0.3-0.8) g

Phosphorus-(20-34) mg

Magnesium:-(10-14) mg

Potassium-(233-308) mg

Zinc-(0.24-0.8) gm

Sodium-39 mg

Vitamin C-(14.8-25.2) mg

Riboflavin-(0.039-0.05) mg

Niacin-0.254 mg

Vitamin K-1.3 mcg

Folate-(25-64) mcg

Beta Carotene-4 mcg ..etc

"মুলো শাক" এর পুষ্টিগত উপাদান গুলি হলো :-

Calorie- 41 K.Cal

Protein-3.8 g

Fiber- 1.0 g

Vitamin C-81 mg

Vitamin E-3.8 mg

Vitamin B2-0.35 mg

Vitamin B1-0.13 mg

Vitamin A-306 mcg

Iron- 3.8 mg

Calcium- 400 mg

Potassium-630 mg

Phosphorus-59 mg....etc


"মুলো" এবং "মুলো শাক" এর  পুষ্টিগত উপকারিতা:-

মুলো হলো খুব কম ক্যালোরি যুক্ত সবজি।

মুলোর মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম,কপার ইত্যাদি আছে। এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমানে ভিটামিন এবং ফোলেট আছে।

ভিটামিন C দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে। দেহের ক্ষত নিরাময়ে এবং দেহের বিভিন্ন কার্যকারিতা কে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহায়ক।

মুলো এর "গ্লাইসেমিক ইনডেক্স" কম তাই ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে ভালো আহার। ইহা রক্তে শর্করার পরিমান কমাতে সাহায্য করে। 

তাজা মুলোর মধ্যে বেশি পরিমানে ভিটামিন C এবং বিটা ক্যারোটিন আছে। ভিটামিন C হলো খুব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।

মুলোর মধ্যে থাকা ফোলেট এবং ভিটামিন B6  রক্ত কণিকা উৎপাদন এবং "ডিএনএ সিসন্থেসিস" এ সাহায্য করে।

মুলোর মধ্যে থাকা পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট QUERCETIN  এবং FELURIC ACID উভয় ই দেহের জ্বালা নিরাময়ে, ক্যান্সার নিরাময়ে এবং দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

মুলো খেলে লিভার ভালো থাকে, এবং ইহা স্নায়ুতন্ত্র কে সুস্থ রাখতে সহায়ক।

মুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক। 

মুলো শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে। রোজ ১০০ গ্রাম মুলো শাক খেলে প্রায় সেইদিনের ক্যালসিয়াম এর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।ক্যালসিয়াম দেহের হাড় গঠনে, পেশী গঠনের খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। ক্যালসিয়াম হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ক্যালসিয়াম দেহে টিউমার সৃষ্টি হাতে বাধা দেয়। দেহে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।  

 মুলোর মধ্যে কো-এনজাইম Q10 থাকে যা ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়ক।

মুলোর মধ্যে থাকা "গ্লুকোসিনোলেট" এবং "আইসোথায়ানেট" নামক উপাদান রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

মুলো খেলে শরীরে "এডিপোনেকটিন হরমোন" এর উৎপাদন বাড়ে। এই হরমোন শিরার ভিতরে  চর্বি জাতীয় পদার্থ জমতে বাধা দেয়, ফলে রক্তনালী সুস্থ থাকে।  

 

 


  উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like  এবং Share করুন।

                    গম খেলে কি কি পুষ্টিগত উপকার পাওয়া যায় ?  ,  "চীনাবাদাম কেন খাওয়া দরকার ?

                     ছোলা(চানা) প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার ? ,  "গুড়" প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার?

                    "ভাত "খেলে কি পুষ্টিকর উপকার পাওয়া যায় ?  , "আপেল" খেলে কি উপকার হয়?

                  "গাজর" নিয়মিত খেলে কি উপকার হয়?    ,  "মুলো" এবং "মুলো শাক" খাওয়ার গুনাগুন

                       

For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com

For Motivational Articles In Bengali visit..... www.swarojgarvikash.com



Post a Comment

0 Comments