"আপেল" প্রতিদিন কেন খাবেন ?
একটি কথা প্রচলিত কথা আছে যে রোজ একটি আপেল
খেলে আপনাকে ডাক্তার থেকে দূরে রাখতে পারে। কথাটি যদিও সম্পূর্ণ সত্যি নয় তবু একথা বলাই
যায় যে আপেলের মধ্যে অনেক পুষ্টিগত গুন্ আছে। আজ আমরা আপেলের পুষ্টিগত গুনাগুন
নিয়ে আলোচনা করবো।
আপেলের মধ্যে বেশি পরিমানে ফাইবার, ভিটামিন
সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। আপেলের মধ্যে বেশিপরিমানে সাধারণ সুগার
যেমন ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ আছে। বেশি
পরিমানে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট থাকা সত্বেও আপেলের মধ্যে বেশি পরিমানে পলিফেনল
এবং ফাইবার থাকায় এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিস রোগী আপেল খেতে
পারেন।
নীচে আপেলের পুষ্টিগত উপাদান গুলি
দেওয়া হলো:-
আপেলের পুষ্টিগত উপকারিতা :-
আপেলের পুষ্টিগত উপকারিতা অনেক।
ফাইবার:-আপেলের মধ্যে বেশি পরিমানে ফাইবার থাকে।100 গ্রাম আপেলের মধ্যে 2.4 গ্রাম ফাইবার থাকে যা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তার 17 শতাংশ। এর মধ্যে কিছু দ্রবণীয় ফাইবার থাকে এবং কিছু অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। দ্রবণীয় ফাইবার এর থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই ফাইবার অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাক্টেরিয়া দের খাদ্য হিসাবেও ব্যবহার হয় ফলে পাকনালীর অন্ত্র সুস্থ থাকে। ফাইবার থাকায় পেট অনেক্ষন ভরে থাকে, অর্থাৎ পরিপাক ধীর গতিতে হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে। রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে।
ভিটামিন C:-
আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। একে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ও বলা
হয়।এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং দেহের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। ইহা দেহের
বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, দেহের পেশীকলা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
ক্ষত নিরাময়ে, চামড়া সুগঠিত রাখতে, রক্তকণিকা
দের সতেজ রাখতে, ট্যান্ডন এবং লিগামেন্ট সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে।
পটাসিয়াম:-আপেলের মধ্যে থাকা পটাসিয়াম
হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখে।
অন্যান্য উপাদান:-
কোয়ার্সেটিন:-এই উপাদান দেহের ক্যান্সার রোগ কে
প্রতিরোধ করে। এন্টিভাইরাস
এর কাজ করে এবং দেহের যন্ত্রনা কমাতে সহায়ক।
ক্যাটেচিন:-আপেলের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন হলো
একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ইহা
সবুজ চা এর মধ্যেও পাওয়া যায়। ইহা মস্তিস্ক এবং পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড:-আপেলের মধ্যে থাকা
ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড রক্তে শর্করার পরিমান কমতে সাহায্য করে এবং দেহে ওজন কমাতে
সাহায্য করে।
38000 মহিলার
উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যাঁরা প্রতিদিন একটি আপেল খেয়েছেন তাঁদের টাইপ 2 ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি 28 শতাংশ কমে গেছে।
আপেল খেলে রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে
সাহায্য করে এবং শিরার ভিতরে ফলক(চর্বিজাতীয় পদার্থের আস্তরণ) জমতে বাধা দেয়। ফলে দেহে রক্ত সংবহন ভালো হয়।
যাঁরা প্রতিনিয়ত আপেল খান তাঁদের হৃদরোগের
সম্ভাবনা কমে যায়।
প্রতিদিন আপেল খেলে ইহা ফুসফুস এবং মলাশয়ের
ক্যান্সার হওয়া থেকে রক্ষা করে।
আপেলের মধ্যে থাকা "ফ্লাভোনয়েড" শরীরের
রক্তচাপ কমায় এবং হার্ট এটাক থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত এই আপেল হাঁপানি রোগ
সারাতেও সহায়ক।
আপেলের রস প্রতিনিয়ত খেলে মস্তিষ্কের
কার্ককারীতা সবল হয় এবং ইহা মানসিক রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
প্রতিদিন অন্ততঃ একটি আপেল খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
আপেল এর খোসা ছাড়িয়ে খাবেন না, খোসা সমেত
খাবেন। খোসার মধ্যেই অনেক পৌষ্টিক গুন্ আছে।
উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like এবং Share করুন।
আরো পড়ুন:- "হলুদ" প্রতিদিন খেলে কি উপকার হবে ? , "কলা" প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার?
গম খেলে কি কি পুষ্টিগত উপকার পাওয়া যায় ? , "চীনাবাদাম কেন খাওয়া দরকার ?
ছোলা(চানা) প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার ? , "গুড়" প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার?
"ভাত "খেলে কি পুষ্টিকর উপকার পাওয়া যায় ? , "আপেল" খেলে কি উপকার হয়?
For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com
For Motivational Articles In Bengali visit..... www.swarojgarvikash.com
0 Comments