তুলসী গাছের উপকারিতা :-
"তুলসী" হলো একধরনের চিরহরিৎ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর ভেষজ এবং পুষ্টিগত গুন্ অনেক। তুলসী কথার অর্থই হলো যার তুলনা নেই। একে ইংরেজিতে বলা হয় “Holi Basil" । "কৃষ্ণ তুলসী" এর বৈজ্ঞানিক নাম "Ocimum Tenuiflirum"। ভারত বর্ষ সহ সমস্ত দক্ষিণ এশিয়া তে তুলসী গাছ প্রচুর জন্মায়। তুলসীর পাতার, ফুলের, ফলের এবং কাণ্ডের সবগুলির ভেষজ গুন্ আছে। বিভিন্ন অঙ্গ যেমন হার্ট, লিভার, চর্ম, কিডনি ইত্যাদি সুস্থ রাখতে তুলসীর ভূমিকা অনেক।এই জন্যই তুলসী কে ঔষধীয় উদ্ভিদদের "রানী" বলা হয়। এমনকি সনাতন হিন্দুধর্মের মানুষ তুলসীর এই উপকারিতার জন্য এঁকে "দেবী" রূপে পুজো করেন । আজ আমরা তুলসী গাছের উপকারিতা সম্বন্ধে আলোচনা করবো।
"তুলসী"র পৌষ্টিক এবং ঔষধীয় গুন্:-
তুলসী গাছ
পরিবেশে প্রচুর পরিমানে অক্সিজেন ছাড়ে এবং পরিবেশকে শুদ্ধ রাখে। এর ফুল, ফল ও পাতার একটি ঝাঁঝালো গন্ধ আছে। মুখ্যত তিন ধরনের তুলসী ধারা যায়, তবে পৃথিবীর সকল প্রজাতির তুলসী কে
হিসাব করলে 21 ধরনের
প্রজাতির তুলসী আছে।
এর মধ্যে "কৃষ্ণ তুলসী"(কালো লালচে ধরনের পাতা), "রাম তুলসী"(উজ্জ্বল সবুজ রঙের পাতা), এবং
"বন তুলসী" অন্যতম।
খালি
পেটে তুলসীপাতার রস খেলে বেশি প্রভাবকারী হয়।
তুলসী
পাতা এবং এর ফুলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকে। যা শরীরের দূষিত মুক্ত
কণাদের শরীর থেকে বের করে দেয়।
তুলসী
পাতার মধ্যে থাকা "ইউজেনল" রক্তে কোলেস্টের এর মাত্রা সঠিক রাখতে
সাহায্য করে।
"ইউজেনল" রক্তের শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। ইহা হজম শক্তি কে বৃদ্ধি করে। পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে এবং স্বাস তন্ত্র কে সুস্থ রাখে।
তুলসী
পাতার এবং ফুলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন A, ভিটামিন C এবং "ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট" থাকায় চর্মরোগ
সারাতে সাহায্য করে, শরীরের চামড়া কে উজ্জ্বল এবং মসৃন করে।
তুলসী
পাতার রস খেলে কিডনি সুস্থ থাকে, শরীরে
ইউরিক অ্যাসিড এর মাত্রা সঠিক রাখে।তুলসীর রস কিডনিতে উৎপন্ন পাথর কে গলাতে
সাহায্য করে।
মাথা
যন্ত্রনা দূরীকরণে তুলসীপাতার রস খাওয়া হয়।
তুলসী
পাতার রস জ্বর নিরাময়ে সহায়ক।
চোখের
রোগের জন্য ও তুলসীপাতার রস উপকারী। চোখের দৃষ্টি সারাতে এবং দৃষ্টিশক্তি বজায়
রাখতে তুলসী পাতার রস নিয়মিত সেবন করা দরকার।
তুলসী
পাতার রস খেলে দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।শরীরের কাটা ঘা তারাতারি সারে এবং
মুখের ঘা সারাতে তুলসীপাতার রস সেবন উপকারী।
"ইউজেনল"এবং"সাইনেওল" নামক উপাদান থাকায় তুলসী পাতার রস
এন্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল, এবং এন্টিভাইরাল ওষুধ হিসাবে কাজ করে।
ফুসফুস কে সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে। সর্দি, কাশি, এবং হাঁপানি রোগ সারতে সাহায্য করে।
তুলসীর
মধ্যে থাকা "ভিটামিন C" হাড় কে মজবুত করতে এবং হৃদযন্ত্রকে সবল রাখতে সাহায্য করে।
পেটের
ঘা সারাতে এবং চোখের রোগ সারাতে তুলসীর পাতা এবং ফুলের রস সেবন করা হয়।
তুলসী
পাতার রস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
তুলসী
পাতার রস শরীরে ইন্সুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণকে
নিয়ন্ত্রণ করে।ডায়াবেটিস রোগ সারাতে সাহায্য করে।
তুলসীর
মধ্যে থাকা "বিটা কেরোয়ফিনাইলিন" যন্ত্রনা রোধে ব্যবহৃত হয়।
আজকাল
তুলসী এক্সট্র্যাক্ট এর ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল ও পাওয়া যায়।এই এক্সট্রাস্ট তুলসীর
পাতা এবং ফুল এর রস থেকে তৈরি হয়।
চায়ের
সঙ্গে তুলসী পাতা দিয়ে চা খাওয়া যেতে পারে। অথবা তুলসী পাতা চিবিয়েও খাওয়া যেতে
পারে।
অথবা
তুলসী পাতা এবং ফুল শুকনো করে গুঁড়ো করে
সংগ্রহ করে রাখা যেতে পারে। যা পরে জলে ভিজিয়ে অথবা চায়ের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
সাবধানতা:-দুগ্ধবতী মহিলা, গর্ভবতী মহিলা এবং যে মহিলা গর্ভ ধারণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের তুলসী পাতার রস না সেবন করলেই
ভালো।
উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like এবং Share করুন।
আরো পড়ুন:- "হলুদ" প্রতিদিন খেলে কি উপকার হবে ? , "কলা" প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার?
গম খেলে কি কি পুষ্টিগত উপকার পাওয়া যায় ? , "চীনাবাদাম কেন খাওয়া দরকার ?
ছোলা(চানা) প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার ? , "গুড়" প্রতিদিন কেন খাওয়া দরকার?
"ভাত "খেলে কি পুষ্টিকর উপকার পাওয়া যায় ? , "আপেল" খেলে কি উপকার হয়?
For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com
For Motivational Articles In Bengali visit..... www.swarojgarvikash.com
0 Comments